• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Station

রাজ্য

শান্তিনিকেতন থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অনুব্রত মন্ডল

অবশেষে পুলিশি জেরার মুখোমুখি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। সাত দিন পর তিনি বোলপুরের এসডিপিও অফিসে যান। ওই চত্বটরে শান্তিনিকেতন থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বিকেল ৩ টে ২০ মিনিট নাগাদ অনুব্রত সেখানে আসেন। এর আগে পুলিশ ২বার বোলপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির ওই সদস্যকে তলব করে। অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। সেই অডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যায়। এদিকে বোলপুরের আইসির দুটো মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে ভাইরাল করল ওই অডিও তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রথম দফায় অনুব্রত ক্ষমা চেয়েছেন, সেই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছিল। পরে অনুব্রতর আইনজীবী এআইয়ের অডিও বলে দাবি করেন। অনুব্রত অনুগামীরা বোলপুর আইসির তুলোধোনা করেন। আপাতত শান্তুনিকেতন থানায় অনুব্রত।

জুন ০৬, ২০২৫
রাজ্য

বুথ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে খুন, ৬ জনের যাবজ্জীবনের নির্দেশ

ভোট গ্রহন কেন্দ্রে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ৬ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন করাদন্ডের নির্দেশ দিলেন লালবাগ আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা বিচারক জিতেন্দ্র গুপ্তা। এছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস জেল। শুক্রবার বিচারকের এই রায় শুনে আদালত চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামী পক্ষের লোকজন। এই ব্যাপারে সরকারি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক ফিটু বলেন, এই কেসে মোট ১৯ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। এছাড়া অন্যান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় খুন ও ৩৪ ধারায় সম্মিলিত কার্যকলাপের অভিযোগে দোষীদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন আবুল কালাম ওরফে টিয়ারুল শেখ।নতুন ভোটার দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে রানিতলা থানার অনুপনগরের বাসিন্দা টিয়ারুল সকাল সকাল বালিপাড়া সরকার পাড়া ১৮৮ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। অভিযোগ ভোটের লাইনে দাঁড়াতেই তৃণমূল কর্মী লালু শেখ, বিয়ারুল শেখ, মাসু শেখ, কামারুন শেখ, তাহজুল শেখ এবং আবু হেনা বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে টিয়ারুল ও তার পরিবারকে। এর প্রতিবাদ করলে ভোটের লাইন থেকে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। তার পরেই তাঁকে ভারি সজনে গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক ভাবে পেটান তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাহিনী। এই অবস্থায় বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যায় তার ছেলে মাহাতাব। ততক্ষণে বুথের কংক্রিটের দেওয়ালে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি ধারল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় ওই কংগ্রেস কর্মীকে। রক্তাক্ত টিয়ারুল বাড়ির দিকে ছুটতে থাকে এক সময় পেট চিরে নাড়ি ভুড়ি বেরিয়ে গেলে ছেলে মাহাতাব তাকে উদ্ধার করে নসিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জখমের অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে লালবাগ হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু রাস্তায় টিয়ারুলের মৃত্যু হয়। এর আগে ওই বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছাপ্পা ভোট করছিল বলে অভিযোগ তোলে বাম-কংগ্রেস জোট। সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল বুথে। সেক্টর আধিকারিক বুথে পৌঁছালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্ত কিছুক্ষণ পরেই আবার উত্তেজনা শুরু হয়। আর তাতেই খুন হতে হয় কংগ্রেস কর্মী টিয়ারুল শেখকে। মৃতের দাদা আইজুদ্দিন শেখ বলেন, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় হলে ভাইকে এই ভাবে দফায় দফায় আঘাত করে খুন করতে পারত না তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনী। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অবশ্য তাদের মধ্যে ৫ জন জামিনে মুক্ত হলেও এতদিন জেল হেফাজতে ছিল লালু শেখ। এই খুনের ঘটনায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসার গদাধর ঘোষাল ও সাব-ইন্সপেক্টর সাহাবুদ্দিন আদালতে প্রায় ৪৭০ পাতার চার্জশিট জমা করেন। এদিনের আদালতের রায় শুনে মৃতের পুত্র মাহাতাব শেখ বলেন, আদালতের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। আদালতের এই রায় শোনার অপেক্ষায় ছিলাম। এদিকে আসামী পক্ষেরআইনজীবী সাহানা পারভিন বলেন, আমার মক্কেলদের ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আমরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মে ২৪, ২০২৫
কলকাতা

নিউটাউন থানায় মহিলা সাব ইন্সপেক্টরকে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেপ্তার দুই

শুক্রবার সন্ধ্যায় ২ যুবক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে সেক্টর ফাইভের দিক থেকে নিউটাউনের দিকে আসিছল। তখন বলাকা আবাসনের কাছে অত্যন্ত বেপরোয়া হবে গাড়ি চালাচ্ছিল বলে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। গাড়িটি একটা গাড়িকে ধাক্কাও মারে। ওই দুজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে গাড়িসহ। দুই অভিযুক্তকে যখন থানায় কর্মরত অবস্থায় ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা নাম জিজ্ঞাসা করে তখন ওই মহিলা অফিসারের গায়ে হাত দিয়ে মারধর করে এবং পোশাকের দড়ি ধরে টানাটানি করে। এরপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত দুই যুবককে এদিন বারাসাত আদালতে তোলা হয়।

মার্চ ১৫, ২০২৫
শিক্ষা

নকলে বাধা উচ্চ মাধ্যমিকে, ধুন্ধুমার মালদার বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুল

উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার দিন নকল করতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ধুন্ধুমার মালদার বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুল। অভিযোগ,নকলে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষার্থীদের একাংশ সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি অফিস ঘরের চা তৈরীর গরম জল হুড়োহুড়ির মধ্যে শিক্ষকদের গায়ে পড়েও জখম হন কয়েকজন। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে চামাগ্রাম হাইস্কুল চত্বরে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে ওই স্কুলে পৌঁছায় বৈষ্ণবনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ইংরেজি পরীক্ষা পরে সুষ্ঠু মতো সম্পন্ন হলেও, আতঙ্কে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। এই হামলার ঘটনায় ৬ জন শিক্ষক জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। যাদের মধ্যে দুইজনকে বৈষ্ণবনগর থানার বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে।এদিকে এদিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তদারকি করতে মালদা এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ হায়ার সেকেন্ডারি বোর্ডের কাউন্সিল সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য। তিনিও পরীক্ষার শেষে ওই স্কুলে পরিদর্শনে যান এবং সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এই হামলার বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জেলা শিক্ষা দপ্তরের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ হায়ার সেকেন্ডারি বোর্ডের কাউন্সিল সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর চামাগ্রাম হাইস্কুলে সিট পড়েছে কান্দিটোলা হাইমাদ্রাসা, চর সুজাপুর হাইস্কুল এবং পারলালপুর হাইস্কুলের। পরীক্ষা শুরুর সময় মেন গেটের সামনে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালাচ্ছিলেন কয়েকজন শিক্ষক। সেই সময় পরীক্ষার্থীদের একাংশ তল্লাশি চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে আচমকায় কয়েকজন শিক্ষকের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আর তাতেই পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ মধ্যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় । পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।চামাগ্রাম হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক বিলাশচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, এদিন ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর আগে স্কুলের মেনগেট দিয়ে পরীক্ষার্থীরা যখন প্রবেশ করছিল, তখন মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে কয়েকজন শিক্ষক তাদের তল্লাশি চালাচ্ছিল। সেই সময় তল্লাশি চালাতে বাঁধা দেয় একাংশ পরীক্ষার্থীরা। তখনই হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং সে সময় কয়েকজন শিক্ষকের ওপর একাংশ পরীক্ষার্থীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগেই হঠাৎ করে একদল পরীক্ষার্থী স্কুলের অফিস ঘরে ঢুকেই গোলমাল শুরু করে। প্রতিবাদ করাতেই শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়। কয়েকজন শিক্ষককে মারধর করা হয়। সেই সময় টেবিলের চা তৈরির জন গামলায় গরম জল ছিল। সেটিও কয়েকজন শিক্ষকদের গায়ে এসে পড়ে। চামাগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষকদের বক্তব্য, পরীক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু পরবর্তী পরীক্ষাগুলিতে এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। রীতিমতো নকলে বাঁধা দেওয়ার কারণেই এদিন একাংশ পরীক্ষার্থীরা এই অশান্তি সৃষ্টি করেছে। পুরো বিষয়টি জেলা শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর এদিন দুপুরে চামাগ্রাম হাইস্কুলে গিয়ে পৌঁছায় পশ্চিমবঙ্গ হায়ার সেকেন্ডারি বোর্ডের কাউন্সিল সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য । কথা বলেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে। চিরঞ্জীববাবু বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এমন ঘটনা কখনো আশা করা যায় না। শিক্ষকেরা পরীক্ষার্থীদের নকলে বাধা দেওয়ার জন্যই তল্লাশি চালানোর কাজ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে শিক্ষকদের ওপর একাংশ পরীক্ষার্থীদের হামলা সেটা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। ইতিমধ্যে জেলা শিক্ষা দপ্তরের কাছে পুরো রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। সবদিক দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে বহিরাগত কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মার্চ ০৫, ২০২৫
রাজ্য

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বিক্ষোভ, ভাঙচুর দমদমের স্কুলে

দমদমের একটি সরকারি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শীলতাহানির অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি ভাঙচুর চালালো, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।দমদম ভারতীয় বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্রীর সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার, নির্যাতিতা ছাত্রী অষ্টম ক্লাসে পঠারত। সে দমদম বিশরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত তিন ফেব্রুয়ারি স্কুলে গেলে অভিযোগ স্কুলের হেডমাস্টার শুভজিৎ ভট্টাচার্য ছাত্রীর শ্রীলতাহানি করেন। এরপর ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয় জানালে, আজ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি অভিভাবকরা এসে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ও স্কুলে ভাঙচুর করে। অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করতে হবে এও দাবি জানায় অভিভাবকরা। অভিযোগ এর আগেও নাকি হেডমাস্টার অনেক ছাত্রীর শীলতাহানি করেছে। তাই এই বিষয় নিয়ে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

মার্চ ০৪, ২০২৫
রাজ্য

গাড়ি উল্টে তরুণীর মৃত্যু, শেষমেশ গ্রেফতার বাবলু যাদব, বাকিরা অধরা

রবিবার গভীর রাত্রে পানাগড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের(২৭)। এই মৃত্যুর ঘটনায় পানাগড়ের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ ওঠে। যে সাদা রংয়ের গাড়িতে করে ওই যুবতীকে কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠে সেই গাড়ির মধ্যে ছিলেন গাড়ির মালিক বাবলু যাদব। রবিবার দুর্ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া বাবলু ও গাড়িতে থাকা বাকিরা। কাঁকসা থানার পুলিশ বাবলু যাদব সহ বাকিদের সন্ধানে মঙ্গলবার বাবলু যাদবের বাড়িতে যায় এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। ঘটনার চার দিনের মাথায় বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা এখনও অধরা। পুলিশের বিশেষ দল তাকে গ্রেফতার করেছে। আসানসোলের নিঘা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় প্রথমে ইভটিজিংয়ের দাবি করেছিল পরিবার। যদিও পুলিশ ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে। বরং পুলিশ দাবি করা হয়েছে, দুটি গাড়ির রেষারেষির জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মা এদিন বলেছেন, যদিও গ্রেফতার হয়েছে একজন। বাকিদেরও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। আমি চাই সেদিনের ঘটনায় যাঁরা ছিলেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। পুলিশ কি আগে সেভাবেব তৎপরল হয়নি। ওই গাড়ির একজনকে গ্রেফতার করল। আমি সন্তানহারা হয়েছি। আমি চাই ছেলে বা মেয়ে হোক নির্বিশেষে সুরক্ষা থাকে। নিজের খুশি মত বাইরে বের হতে পারে। কেউ অসুস্থ হলে বাইরে ওষুধ আনতে কেউ যেতে পারবে না। সমাজে নিরাপত্তা পাওয়া তো অধিকার। কেন এই নিরাপত্তা পাব না। প্রত্যেককে নিরাপত্তা দেওয়া হোক।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫
রাজ্য

পানাগড়ে তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব কে? তদন্তে সিআইডি

রবিবার গভীর রাত্রে পানাগড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের(২৭)। এই মৃত্যুর ঘটনায় পানাগড়ের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ ওঠে। যে সাদা রংয়ের গাড়িতে করে ওই যুবতীকে কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠে সেই গাড়ির মধ্যে ছিলেন গাড়ির মালিক বাবলু যাদব। রবিবার দুর্ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া বাবলু ও গাড়িতে থাকা বাকিরা। কাঁকসা থানার পুলিশ বাবলু যাদব সহ বাকিদের সন্ধানে মঙ্গলবার বাবলু যাদবের বাড়িতে যায় এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও এখনও বাবলু যাদবকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের। কেন এই বাবলু যাদব কে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না? সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।কে এই বাবলু যাদব ?স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় দশ বছর আগে পানাগড়ে আসে বাবলু যাদব। পানাগড় বাজারের কাওয়ারি মার্কেটে এক ব্যক্তির দোকানে কাজ শুরু করে। সেখান থেকে পরে লোহার যন্ত্রাংশ অল্প পরিমাণে কেনা বেচার ব্যবসা শুরু করে। মূলত ছোট এবং বড় গাড়ির স্প্রিং পাতির ব্যবসা করতো বাবলু। পরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক বাংলাদেশের ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। পানাগড়ে কাওয়ারি মার্কেটে মূলত পুরনো গাড়ির স্পেয়ার পার্টস কেনা বেচার বিরাট এলাকা জুড়ে ব্যবসা চলে। অবৈধ গাড়ির কেনা বেচা হয় সমস্তটাই পুলিশের নজর এড়িয়ে। মূলত এখানে ভিন রাজ্য থেকে বড় এবং ছোট গাড়ি কিনে এনে সেগুলিকে কাটাই করে তার সমস্ত যন্ত্রাংশ আলাদা করার পর লোহার কেজি দরে বিক্রি করা হয়। সেখান থেকেই গাড়ির স্প্রিং পাতি কিনে সেগুলি অবৈধভাবে বাংলাদেশ পাচার করত বাংলাদেশী এক ব্যবসায়ীর হাত ধরে। এই ব্যবসা শুরু করার পর মাত্র দু বছরের মধ্যে রীতিমত ফুলে ফেঁপে ওঠে এই বাবলু যাদব। কাওয়ারি মার্কেটের মধ্যে একজন বড় ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিচিতি বাড়ে। স্প্রিং পাতির ব্যবসার সাথে চোরাই গাড়ি ও পুরনো গাড়ি কিনে সেগুলি বেআইনিভাবে কাটাই করে শুরু হয় আরো একটি ব্যবসা। পুলিশের নজর এড়িয়ে রমরমিয়ে চলতো তার ব্যবসা। গত এক বছর আগে ভিন রাজ্য থেকে একটি লরি কিনে এনে পানাগড় বাইপাসের ধারে একটি ফাঁকা জায়গায় লরিটি কাটাই করার সময় বুদবুদ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরে। বাবলু যাদবের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বুদবুদ থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় বাবলু যাদব ও তার সঙ্গী সাথীরা। বাজেয়াপ্ত হয় ভিন রাজ্যের একটি গাড়ির বিভিন্ন পার্টস ও লরির যন্ত্রাংশ।আদালতে পেশ করার পর তারা পরে জামিনে মুক্তি পায়। রবিবার গভীর রাত্রে সেই বাবলু যাদব গাড়ির মধ্যে ছিলেন বলে দাবি করেছেন এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। যদিও এসিপি জানিয়েছেন তারা বাবলু যাদবকে শীঘ্রই গ্রেফতার করবে। অন্যদিকে মঙ্গলবার কাঁকসা থানার ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি আধিকারিকরা। এদিন কাঁকসা থানায় আটক হওয়া দুর্ঘটনাগ্রস্থ দুটি গাড়ি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গাড়ি দুটির ছবি ও নমুনা সংগ্রহ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি পানাগড়ের রাইস মিল মোরে দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন তারা। এদিন কাঁকসা থানার পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। যদিও এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে সিআইডির হাতে অফিসিয়ালি কোনও তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি বলে তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকেলে কাঁকসা থানায় আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা। এদিন তিনি দুর্ঘটনা গ্রস্থ গাড়ি দুটি খতিয়ে দেখেন। এদিন সাংবাদিকরা ডিসিপি-কে ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গেলে। সাংবাদিকদের উপর ক্ষুব্ধ হন ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা।এদিন তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি শুধুমাত্র মিডিয়া সন্ত্রাসের কারণে। মিডিয়ায় খবর দেখে সকলে গা ঢাকা দিয়েছে। তার দাবি, সংবাদ মাধ্যমে সোমবার সকাল থেকে যে খবর দেখানো হয়েছে তা সত্য নয়। সোমবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি দাবি করেন কোনরকম ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটেনি। রেষারেষির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই কথা মঙ্গলবার বিকেলে কাঁকসা থানায় এসে ফের দাবি করেন ডিসিপি।পুলিশ জানিয়েছে, ১০৫ ও ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।গত রবিবার গভীর রাত্রে হুগলির চন্দননগর থেকে সুতন্দ্রা চ্যাটার্জি একটি ছোট গাড়িতে করে চালকসহ পিছনে তিনজনকে সাথে নিয়ে বিহারের গয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সেখানে তাদের একটি নাচের অনুষ্ঠান ছিল। বুদবুদের আগে জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পে তারা গাড়িতে তেল ভরার পর। জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোলের দিকে যাওয়ার সময় একটি সাদা রঙের ছোট গাড়ি থেকে ৫ জন যুবক তাদের কটুক্তি করে বলে অভিযোগ ওঠে। দুটি গাড়ির মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষ হয়। এরপরই সাদা গাড়িতে থাকা পানাগড়ের বাসিন্দাদের গাড়ি ধাওয়া করে সুতন্দ্রার চার চাকাটি। পানাগড় বাজারের রাইস মিল রোডে সাদা গাড়িটি রাইস মিল রোডে ঢোকার মুখে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেখানে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সুতন্দ্রা।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
রাজ্য

মদ্যপ যুবকদের গাড়ির তাড়াতে দুর্ঘটনায় মৃত্য যুবতীর, পুলিশের পাল্টা দাবি!

নারী সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য। এবার জাতীয় সড়কে তরুণীর গাড়ি লক্ষ্য করে ধাওয়া মদ্যপ যুবকদের। পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় তরুণীদের গাড়িটি। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা ওই তরুণীর। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দাবি, দুটি গাড়ি রেষারেষি করছিল। কটূক্তি বা তাড়া করার বিষয়টি মানতে চায়নি পুলিশ।চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। পেশায় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী সুতন্দ্রা। রবিবার মাঝ রাতে তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে একটি গাড়ি করে চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুতন্দ্রা। সুতন্দ্রাদের গাড়ি চালকের দাবি, পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে পৌঁছে তেল ভরার জন্য তাঁরা একটি পেট্রোল পাম্পে গিয়েছিলেন। পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরার পরেই তাঁদের গাড়িকে ধাওয়া করে অন্য একটি গাড়ি।সেই গাড়িতে ছিল পাঁচ যুবক। ওই যুবকরা প্রত্যেকে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। সুতন্দ্রাকে তারা কটুক্তি করতে থাকে, এরপরই সুতন্দ্রাদের গাড়ি ধাওয়া করতে শুরু করে যুবকদের গাড়িটি। কোনওক্রমে গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি রাস্তার পাশের দোকানে ধাক্কা মারে সুতন্দ্রাদের গাড়ি। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িটি উল্টে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় এবার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সুতন্দ্রাদের গাড়িতে থাকা প্রত্যেকেই চোট পেয়েছেন।পরবর্তী সময়ে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্তরা এখনও অধরা রয়েছে। জাতীয় সড়কের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে ফের বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।পেট্রোল পাম্প থেকেই বারে বারে সাদা গাড়িটি আমাদের গাড়িটিকে ওভারটেক করে। যখন তেল ভরে পেট্রোল পাম্প থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোতে যায় তখনই আমাদের গাড়িটিকে বাঁ দিকে চেপে দেয় কিছু দূর গিয়ে আচমকা ব্রেক কষে। তরুণী মৃত্যুতে বিস্ফোরক বয়ান গাড়ির চালকের। দুর্ঘটনার পর ওই গাড়ি চালক দাবি করেন, পেট্রোল পাম্প থেকে বেরোনোর পরেই ওদের গাড়িটা আমাদের গাড়িতে এসে ধাক্কা দেয়। ম্যাডামের দিকে হাত নেড়ে অশ্লীল ইঙ্গিত করছিল ওরা। আমি গাড়ি থামালে ওরা ম্যাডামকে নামিয়ে তুলে নিয়ে চলে যেতে পারত। এদিকে গোটা ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে মৃতার মা। মাত্র ৮ মাস আগেই স্বামীকে হারিয়েছেন। এবার পথদুর্ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই বাকরুদ্ধ। হুগলির চন্দননগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নাড়ুয়া রায়পাড়ার পুরোনো দোতলা বাড়িতে আজ শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরু একচিলতে গলির ধারে বাড়িটির বাইরে এলাকার মানুষজন এবং মিডিয়ার ভিড়। নিজস্ব ট্রুপ নিয়ে প্রোগ্রাম করতে বেরিয়েছিলেন ওই বাড়ির মেয়ে বছর ২৭ এর সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। গন্তব্য ছিল গয়া। গতকাল রাতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
কলকাতা

মেট্রোপথে জুড়তে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া থেকে ঘুরে গেল ট্রায়াল মেট্রো

মেট্রো যাত্রীদের জন্য আরও একটি সুখবর। মেট্রোতে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আরও জোরালো হল। কারণ, নোয়াপাড়া-জয় হিন্দ বিমানবন্দর লাইনের (৭.০৪ কিমি) ইউপি এবং ডিএন উভয় লাইনেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল রান সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগে, আজ, শুক্রবার নোয়াপাড়া থেকে এই ট্রায়াল রান শুরু হয়েছিল। রেক নং এমআর ৪০৮ দিয়ে মেট্রো কর্মী, কর্মকর্তা এবং কৌতূহলী দর্শকরা তাদের সামনে ইতিহাস তৈরি হতে দেখেছেন।এই ট্রায়াল রানের সময় মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি, অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো ট্রায়াল রানের সময় মোটরম্যানের ক্যাবে শ্রী রেড্ডি উপস্থিত ছিলেন। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে যাওয়ার পথে, রেকটি দম দম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থামে এবং জেনারেল ম্যানেজার এই স্টেশনটি পরিদর্শন করেন।ট্রায়াল রেকটি শেষ পর্যন্ত ১২:৩১ মিনিটে জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। মেট্রো কর্মকর্তা এবং সেখানে উপস্থিত কর্মীরা রেকটিকে স্বাগত জানালে। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনটিও পরিদর্শন করেন এবং মেট্রোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং কনকোর্স স্তরে উপলব্ধ বিভিন্ন যাত্রী সুবিধা স্থাপনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এই প্রান্তে প্রথম ট্রায়াল রান সম্পন্ন হওয়ার জন্য জেনারেল ম্যানেজার সকলকে অভিনন্দন জানান।পরিদর্শন সম্পন্ন করার পর, জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনের উর্ধ্বতন মেট্রো কর্মকর্তাদের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্ত মুলতুবি কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। ফিরতি যাত্রার সময়, রেকটি জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন থেকে দুপুর ১:৫৭ মিনিটে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং দুপুর ২:২১ মিনিটে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। জেনারেল ম্যানেজার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই স্টেশনটি চালু হলে কলকাতা এবং শহরতলির মানুষকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ হবে।ইয়েলো লাইনের নোয়াপাড়া এবং জয় হিন্দ বিমান বন্দরের মধ্যে অবস্থিত এই স্টেশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:-১. মোট স্টেশনের সংখ্যা-৪টি (নোয়াপাড়া, দম দম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড, জয় হিন্দ বিমান বন্দর)।২. জয় হিন্দ বিমান বন্দর এশিয়ার বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে।৩. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনটি অরেঞ্জ লাইন এবং ইয়েলো লাইনের সংযোগকারী স্টেশন হবে।৪. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫টি প্ল্যাটফর্ম থাকবে।৫. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের কনকোর্স এলাকা ১৪৬৪৫ বর্গমিটার।৬. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম স্তর এবং কনকোর্স স্তরের মধ্যে ৬টি সিঁড়ি, ১২টি এসকেলেটর এবং ৬টি লিফট থাকবে।৭. একটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ৩৩০ মিটার এবং প্রস্থ ১০.৫ মিটার) যশোর রোডকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ২ নম্বর প্রবেশ-প্রস্থান পথ রয়েছে যা কনকোর্স অবৈতনিক এলাকাটিকে বারাসত পার্শ্বের দিকে, ২.৫ নম্বর বিমানবন্দর গেট (যশোর রোড হাইওয়ের কাছে) সংযুক্ত করবে।৮. এই সাবওয়েতে ৩টি এসকেলেটর, ২টি লিফট এবং ২টি সিঁড়ি থাকবে।৯. আরেকটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ২৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৩ মিটার) বিমানবন্দরকে জয় হিন্দ বিমান বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ৩ নম্বর রয়েছে। প্রবেশ-প্রস্থানের ব্যবস্থা থাকবে যা NSCBI বিমানবন্দর (বিমানবন্দরের আগমন গেট নং ১) দিয়ে আসা যাত্রীদের এবং পার্কিং এলাকা থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সুবিধা প্রদান করবে।১০. এই সাবওয়েতে ৪টি লিফট, ৬টি এসকেলেটর এবং ৩টি সিঁড়ি থাকবে।১১, এই সাবওয়েতে যাত্রীদের সুবিধার্থে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ট্রাভেলেটর থাকবে।১২. যশোর রোড এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনগুলিতে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে এবং লিফট, এসকেলেটর ইত্যাদির মতো আধুনিক যাত্রী সুবিধা থাকবে।১৩. নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনটি ব্লু লাইন এবং ইয়েলো লাইনের মধ্যে যাত্রী বিনিময় স্থান হবে।১৪. নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ কার্শেড পর্যন্ত এই অংশের মোট দৈর্ঘ্য ৭.০৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ভূগর্ভস্থ এবং ৫.২৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টে থাকবে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
রাজ্য

কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছাত্রীর

কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক ছাত্রী। এমনই অভিযোগ উঠেছে রানিগঞ্জের ত্রিবেনীদেবী ভালোটিয়া কলেজ কমার্সে। অভিযোগ, ওই ছাত্রী কলেজে প্রথমবর্ষের ভর্তি হতে এসেছিলেন। ভর্তি হওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে টাকা চায় কয়েকজন। পরে কলেজ চত্বরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে শ্লীলহানি করে। মেয়ের সঙ্গে হওয়া এমন ঘটনা জানতে পেরে ছাত্রীর বাবা-মা কলেজের টিচার ইনচার্জ মিলন মুখোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। টিচার ইনচার্জ জানিয়েছেন, তিনিও ওই অভিযোগপত্র পাওয়ার পরে থানায় যোগাযোগ করেন। গোটা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দেখছে।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
কলকাতা

বাংলার এই রেলস্টেশনের সব কর্মীই মহিলা, দক্ষতার সঙ্গে চলছে কাজ

পূর্ব রেলের এই স্টেশনের সমস্ত কর্মীই মহিলা। রেলের মহিলা কর্মীরা নিরাপদে প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশন পরিচালনা করছেন। ৬ মার্চ ২০২০ থেকে শিয়ালদহ বিভাগের প্রথম সর্ব-মহিলা চালিত রেলওয়ে স্টেশনে পরিণত হয়েছে। এখানে স্টেশন মাস্টার, পয়েন্টসম্যান, পোর্টার এবং স্যানিটেশন স্টাফ সহ স্টেশনের পুরো স্টাফরা প্রত্যেকেই মহিলা। এই মাইলফলক নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত বলা যায়।প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনে নিরাপত্তা একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার, উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং নিয়মিত নিরাপত্তা টহল এবং জরুরী প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাগুলি মহিলা যাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে। মহিলাদের বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করে, প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশন একটি আরও অন্তর্ভুক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলছে। প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনের সর্ব-মহিলা দলটি রেলের কার্যক্রমের সমস্ত দিক পরিচালনা করছে। ট্রেন পরিচালনা এবং কাজের স্থানান্তর পরিচালনা থেকে ব্যতিক্রমী যাত্রী পরিষেবা প্রদান এবং পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটেশন বজায় রাখার জন্য এই মহিলারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, আমাদের সমাজ গঠনে মহিলারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই উদ্যোগটি তাদের ক্ষমতার প্রমাণ।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
দেশ

আবেদন করুন ভারতীয় রেলের "ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট" স্টলের জন্য, অভাবনীয় সুযোগ

OSOP আসলে কী? OSOP অর্থাৎ ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট। আপনার মতো সাধারণ মানুষ যারা বিভিন্ন হস্তশিপ্লের এবং ক্ষুদ্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত কিন্তু এখনও সুযোগ পাননি যে নিজের তৈরী সামগ্রী অথবা আপনাদের বন্ধুবান্ধবদের সাথে সমষ্টিগতভাবে তৈরী সামগ্রীকে বৃহত্তর বাজারে তুলে ধরতে, তাঁদের জন্য ভারত সরকার নিয়ে এসেছে ভোকাল ফর লোকাল অ্যান্ড লোকাল টু গ্লোবাল প্রকল্প। অর্থাৎ যদি আপনার তৈরী সামগ্রীকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য করার কেউ না থাকে, সেই সুযোগ রেল আপনাকে এনে দিয়েছে ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট স্টলের মাধ্যমে। রেলের বিভিন্ন স্টেশনে ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট ষ্টল ইতিমধ্যেই আছে এবং এবিষয়ে পূর্ব রেল বিভিন্ন খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে গত ১৯শে অগাস্ট। হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত প্রায় ১০০টি স্টেশনে এবং শিয়ালদহ ডিভিশনেও ১০০ টির কাছাকাছি স্টেশনে এক স্টেশন এক পণ্য প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় হাওড়া, আদিসপ্তগ্রাম, অম্বিকা কালনা, আরামবাগ, আজিমগঞ্জ জংশন, চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া সহ বিভিন্ন স্টেশনে স্টল স্থাপন করা হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে দত্তপুকুর, পিয়ালী, লালগোলা, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট সহ আরও অনেক স্টেশনে এই স্টলগুলো স্থাপন করা হয়েছে।কিন্তু আপনারা আবেদন করবেন কীভাবে? আবেদনের প্রক্রিয়া খুবই সহজ। স্টেশন ম্যানেজার লেভেলে সাদা কাগজে আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং ফি বাবদ আপনাকে সামান্য কিছু টাকা পেমেন্ট করতে হবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। এরপর লটারী হবে, মোট যতজন আবেদনকারী আবেদন করবেন তাদের মধ্যে লটারী হবে সততা বজায় রাখার জন্য। আবেদনকারীদের মধ্যে কারা কতদিনের জন্য ষ্টল পাবেন সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই লটারী করা হবে। সবাই যাতে সমান সুযোগ পায়, সেজন্যই ভারতীয় রেলের এই সিদ্ধান্ত। এই স্টলগুলোর জন্য যারা ১৫ দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫০০ টাকা (জিএসটি সহ) এবং ২০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। ৩০ দিনের জন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা (জিএসটি সহ) এবং ৪০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এর বাইরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত চার্জ প্রযোজ্য হবে। বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলী www.er.Indianrailways.gov.in ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।স্থানীয় শিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ, যেখানে তারা সহজেই তাদের পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন এবং যাত্রীরা সস্তায় তাদের পছন্দের হ্যান্ডক্র্যাফট পণ্য পেতে পারছেন। সাধারণ মানুষদের কথা ভেবেই ভারতীয় রেল এই ব্যবস্থা করেছে।

আগস্ট ২৩, ২০২৪
রাজ্য

যাত্রীদের সুবিধার্থে অভূতপূর্ব উদ্যোগ পূর্ব রেলের, শিয়ালদহ শাখার যাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন

যাত্রীদের জন্য সুখবর, শিয়ালদহ স্টেশনে ১, ২ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ১২ কোচের EMU লোকাল চালু শুরু হয়েছে এবং আর কয়েক দিন এর এর মধ্যে ৩, ৪ নম্বর প্লাটফর্ম সম্পসারণের কাজ শেষ হয়ে গেলেই এই দুটি প্লাটফর্ম থেকেও ১২ কোচের লোকাল ছাড়বে। ভারতের ব্যস্ততম রেলস্টেশনগুলির এর মধ্যে অন্যতম স্টেশন শিয়ালদহ। এখান দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীর যাতায়াত। পূর্ব রেল সর্বদা শিয়ালদা স্টেশনের পরিষেবাকে উন্নত থেকে থেকে উন্নততর করার প্রচেষ্টা করে চলেছে। এই প্রচেষ্টারে নব তম সংযোজন শিয়ালদা স্টেশনের জন্য অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং কেবিনের প্রতিস্থাপন।শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ৮৯২টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে প্রতিদিন। কিন্তু প্লাটফর্মে দৈর্ঘ্য কম থাকার জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে এক থেকে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম পর্যন্ত ১২ কোচের ট্রেন চালানো যেত না। পূর্বে ৬ এবং ৭ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ১২ কোচের এমু লোকাল চলতো বলেই যাত্রীরা বিভিন্ন ভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করতেন। কিন্তু পূর্ব রেল সর্বদা যাত্রী স্বছন্দের কথা মাথায় রেখেই ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্মের সম্প্রসারণ করেছে। এর মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর প্লাটফর্ম সম্পসারণ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে। এর ফলে যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।১২ কোচের ট্রেন হওয়ার ফলে একটি ট্রেনে যত সংখ্যক যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হতো তার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে। খুব দ্রুততার সঙ্গে ১, ২ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্ম সম্পসারণের কাজ শেষ হওয়ায় এই প্লাটফর্মগুলি থেকে ১২ কোচের লোকাল চালানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে ৯ কোচের পরিবর্তে ১২ কোচের ট্রেন চলার ফলে প্রতি ট্রেনে প্রায় ১০০০ জন অতিরিক্ত যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে ।পূর্বে ১, ২ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যেসব ট্রেন ছাড়ত, সেগুলো ছিল ৯ কোচের। শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী পরিষেবায় ১, ২ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ কোচের ট্রেন চালু হওয়ার ফলে যাত্রীদের যাতায়াত আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং সহজসাধ্য হয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বারাসাত, বারাকপুর, শান্তিপুর, নৈহাটি, শ্যামনগর, বনগাঁও, ডানকুনি, সোদপুর, খড়দহ সহ বিভিন্ন স্থানের যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন।৯ কোচের ট্রেনে বিধাননগর ও দমদম স্টেশন থেকে যাত্রীদের উঠতে অনেক অসুবিধা হতো, তবে ১২ কোচের ট্রেন চালু হওয়ার ফলে তাদের উঠতে এবং বসতে সুবিধা হয়েছে। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা এই পরিবর্তনে খুবই খুশি এবং সন্তুষ্ট। এছাড়াও, ৯ কোচের ট্রেনের থেকে ১২ কোচের ট্রেনে সিট সংখ্যা ২৫ % বেশি হওয়ায় যাত্রীদের যাতায়াতে আরও সুবিধা হবে।পূর্ব রেলওয়ের জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র শ্রী কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পূর্ব রেলওয়ে নির্ভরযোগ্য ও যাত্রী-কেন্দ্রিক রেল পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ১, ২ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ কোচের ট্রেন চালু হওয়ার ফলে যাত্রীরা আরও সুবিধাজনক এবং নিরাপদ ভ্রমণ করতে পারবে।

জুন ২৩, ২০২৪
রাজ্য

কলকাতায় আসার পথে ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত গায়িকা রাফা ইয়াসমিনের সর্বস্ব চুরি, ট্রেনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত এবং বহু চর্চিত মালদার গায়িকা রাফা ইয়াসমিন ও তাঁর পরিবারের ট্রেন যাত্রার সময় সর্বস্ব খোয়া গেল। বুধবার ভোররাতে ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এই ঘটনার পর রেল পুলিশও কোনও সহযোগিতা করেনি, অভিযোগ গায়িকা রাফা ইয়াসমিন এবং তার পরিবারের সদস্যদের। শেষমেশ মালদার কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্তাকে ফোন করে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনের জিআরপির সহযোগিতা নেন গায়িকা রাফা ও তার পরিবার। জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গায়িকা রাফা ইয়াসমিনের বাবা রাজ্জাক হোসেন।ওই ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় এমন চুরির ঘটনায় রীতিমতো রেল পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন রাধিকাপুর - চিৎপুর গামী এক্সপ্রেস ট্রেনে। মালদা শহরের মীরচক এলাকার বাসিন্দা রাফা ইয়াসমিন গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ভারতবর্ষের বিভিন্ন সংগীত মঞ্চে প্রতিযোগিতায় একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন। অল্প বয়সে সঙ্গীত জগতে প্রশংসাও পেয়েছেন রাফা। রাফার বাবা রাজ্জাক হোসেন কলকাতা চিৎপুর স্টেশনের জিআরপির কাছে অভিযোগে করেছেন, মঙ্গলবার মালদা টাউন স্টেশন থেকে গভীর রাতে আমরা ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠি। এ - ওয়ান শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আমাদের আসন ছিল ১৮, ৩৪ এবং ৩৬ । ভোর ছয়টা নাগাদ আমি যখন বাথরুম যাই তখনই মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে একটি ব্যাগ ও মূল্যবান কিছু জিনিস চুরি হয়েছে। সেই ব্যাগে কয়েক হাজার টাকার নগদ, মোবাইল, পরিচয় পত্র, এটিএম কার্ড সহ আরও জরুরি কিছু জিনিস ছিল। সেই ব্যাগটি চুরি গিয়েছে। এই ঘটনার পর রেলের এমার্জেন্সি নম্বর এবং রেল পুলিশকেও ফোন করে পাইনি। তাদের কোন সহযোগিতা মেলেনি।

জুন ১৯, ২০২৪
রাজনীতি

বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, থানায় পুলিশকে ধমক শুভেন্দুর

নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী মহিলাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে পৌঁছে সরাসরি পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম কাণ্ডে খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাও আবার নন্দীগ্রাম থানার ভিতরে দাঁড়িয়ে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ধমক দিলেন।বুধবার রাতপাহারা দিতে গিয়ে গোলমালের মাঝে পড়ে নিহত হয়েছে বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির। গুরুতর আহত তাঁর ছেলে সঞ্জয়। এদিন বিকেলে নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু। তার পরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থানায় ঢোকার আগে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। প্রথমে তাঁদের ধমক দেন শুভেন্দু।এর পর শুভেন্দু থানার ভিতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে এক কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে তিনি বলেন, খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে, মাকে খুন করেছে। রথীবালা আড়ি সঞ্জয় আড়ির মা নন, তিনি আমার মা। খুনিদের সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন। আমি জানতে চাই, খুনির সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন কেন? মজা দেখাব আইসিকে!দলের এক মহিলা কর্মী খুনে হিংসার আগুন জ্বলতে থাকে নন্দীগ্রামে। পরপর চলতে থাকে দোকানে ভাঙচুর-আগুন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপর্যুপরি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নন্দীগ্রাম থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ গেরুয়া দলের। দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে শেষমেশ বিক্ষোভ ওঠে। নির্বাচনের দুদিন দিন আগে এই নৃশংস খুনে নন্দীগ্রাম বেশ উত্তপ্ত।প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া মনসাবাজারে গতকাল রাতে তৃণমূল-BJP-র মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে ৯ জন গুরুতর জখম হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জখম রথিবালা আড়ি নামে এক মহিলা BJP কর্মীর মৃত্যু হয়। অন্য আর একজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত বাকিরা নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন।এদিকে, নন্দীগ্রামের এই খুন নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন বলেন, মমতা ব্যানার্জির ভাইপোর উসকানিতে খুন হয়েছে। উনি গতকাল বলে গিয়েছিলেন সোনাচূড়া, গোকুলনগরের ৮০টি বুথে অনেকে ধমকাচ্ছেন, আমি তাদের সতর্ক করতে এসেছি, ফল ভালো হবে না। FIR-এ ওঁর পরিবার ওঁর নাম বলেছে।তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে তৃণমূলের সংগঠনই নেই। BJP-র আদি ও নব্যের মধ্যে ঝামেলা। তারই জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নেই। রাজনৈতিকভাবে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে BJP এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এলাকায়-এলাকায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, তৃণমূলের কর্মীদের মারধর করছে।

মে ২৩, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

বর্ধমানের গন্তারে তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, বিজেপির অপশাসনে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, কেবলমাত্র সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বিজেপি এবং সিপিআইএম একজোট হয়ে আমাদের রাজ্যের ২৬,০০০ মানুষের থেকে চাকরি কেড়ে নিয়েছে। তাই সিপিআইএম-কংগ্রেস-বিজেপির এই জনবিরোধী জোটকে প্রতিহত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আমাদের ১,৫০০ পুলিশ কর্মীকে অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়েছে কিন্তু তাদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান থেকে বিরত রেখেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। আমি কথা দিচ্ছি, যদি তাঁরা ভোটদান না করতে পারে তাহলে আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।বৃহস্পতিবার রাজভবনে এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি নারীদের নিয়ে খুব বড় বড় ভাষণ দেন। কিন্তু রাজ্যপালের রাজভবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা কী? সেই অসহায়, নিষ্পাপ মেয়েটির কী দোষ ছিল? লজ্জা লাগছে আমার! ছিঃ! বিজেপির কালো শাসনে আমরা কেউ ভালো নেই, আমাদের সকলকে ভালো থাকতে হবে।যদিও অভিযোগের পর পরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সত্যের জয় হবেই। আমি কারও চক্রান্তকে ভয় করি না। কেউ যদি আমার নামে কুৎসা করে নির্বাচনী সুবিধা পেতে চায়, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তাঁরা বাংলায় দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না।

মে ০৩, ২০২৪
কলকাতা

"সত্যের জয় হবেই, বাংলায় দুর্নীতি ও হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামবে না", অভিযোগের পর বিবৃতি রাজ্যপালের

রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলো। রাজভবনের এক অস্থায় মহিলা কর্মী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনেছেন। যদিও রাজভবনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে।রাজভবন থেকে এক বিবৃতিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সত্যের জয় হবেই। আমি কারও চক্রান্তকে ভয় করি না। কেউ যদি আমার নামে কুৎসা করে নির্বাচনী সুবিধা পেতে চায়, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তাঁরা বাংলায় দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না।Truth shall triumph. I refuse to be cowed down by engineered narratives. If anybody wants some election benefits by maligning me, God Bless them. But they cannot stop my fight against corruption and violence in Bengal. Raj Bhavan Kolkata (@BengalGovernor) May 2, 2024এই ঘটনার তৃণমূল কংগ্রেস রেরে করে নেমে পড়েছে। তয়ঁদের বক্তব্য, এই রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকবেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার।

মে ০২, ২০২৪
কলকাতা

সোশ্যাল মিডিয়া চাকরির প্রলোভন, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষধিক টাকা প্রতারণা। এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা রাজীব গোস্বামী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া মারফত একটি চাকরির এসএমএস পান। সেই সূত্র ধরে তিনি যোগাযোগ করলে তাকে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রূপে অ্যাড করা হয়। সেখানে তাকে বিভিন্ন প্রিপেড টাস্ক করতে বলা হয় যেখান থেকে তিনি রোজগার করতে পারবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তিনি সেই প্রিপেড টাস্ক করতে গিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। এরপরই টাকা চাইতে গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারকরা।ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে অভিযোগকারীর সেই টাকা গিয়ে পৌঁছেছিল বেশকয়েকজনের অ্যাকাউন্টে। এরপরই গতকাল নোয়াপাড়া এবং জগদ্দলে হানা দিয়ে কৌশিক বোস, সন্তোষ কুমার সাউ এবং চন্দন কুমার সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
দেশ

মমতার পুলিশকে সেরার স্বীকৃতি মোদি সরকারের, দেশের তিন সেরা থানার এক বাংলায়

বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন যখন রাজ্যজুড়ে বিজেপি আন্দোলন করছে ঠিক তখনই মোদি সরকারের তরফে এল পুরস্কার। কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেল হুগলির চন্দননগর কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা। দেশের তিন সেরা থানার অন্যতম শ্রীরামপুর। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোশাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, এই ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়, আমাদের শ্রীরামপুর থানা-কে (চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট) ২০২৩ সালের জন্য গোটা দেশের সেরা তিনটি থানার মধ্যে একটি হিসাবে নির্বাচিত করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি নিজে আমাদের সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাছে ট্রফি তুলে দেবেন। জাতীয়স্তরে আমাদের অনবদ্য নজিরের জন্য সকল পুলিশ ভাইদের ধন্যবাদ। জয় বাংলা।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি, অন্যান্য বিরোধী দলের নেতৃত্ব যখন পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারে বারেই প্রশ্ন তুলছেন, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এমন স্বীকৃতি এল পুলিশমন্ত্রী মমতার ঝুলিতে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে মমতা সরকারকে নিশানা করা হলে পাল্টা এবার শ্রীরামপুর থানার উদাহরণকেই হাতিয়ার করবে তৃণমূল।কয়েক সপ্তাহ আগেই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে, ২০২১ সালে দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে সব থেকে নিরাপদ কলকাতা। এর আগে ২০২০ সালেও এই তকমা পেয়েছিল এই তিলোত্তমা। ২০১৮ সালেও দেশের সব থেকে নিরাপদ শহর হওয়ার কৃতিত্ব ছিল কলকাতার-ই। এনসিআরবির রিপোর্ট অনুসারে, কলকাতার প্রতি লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে দেশের বাকি শহরের তুলনায় সব থেকে কম অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এর ভিত্তিতেই সব থেকে নিরাপদ শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে কলকাতার নাম।কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-এ কলকাতায় প্রতি লক্ষ মানুষে নথিভুক্ত অপরাধ ১০৩.৪। এই সংখ্যা ২০২০-র তুলনায় কম। সে বছর এই সংখ্যা ছিল ১২৯.৫। ভারতের যে বড় শহরগুলির জনসংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি, একমাত্র সেই শহরগুলির তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট বানায় এনসিআরবি। তবে রাজ্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এনসিআরবি রিপোর্ট দেয় বলেই এমন মর্যাদা পেয়েছে কলকাতা। এমন দাবি রাজ্য বিজেপি নেতাদের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
রাজ্য

বড়সড় দুর্ঘটনা বর্ধমান রেল স্টেশনে, আশঙ্কা মৃত ৩

ইস্টার্ন রেলওয়ের ব্যস্ততম স্টেশন বর্ধমান। তখন ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে বহু যাত্রী। আচমকা ঘটে গেল হাড় হিম হওয়া ঘটনা। প্রাণ গেল ৩ জনের। এই দুর্ঘটনায় জখম বহু, চরম আতঙ্কে যাত্রীরা। ফের প্রশ্নের মুখে রেল স্টেশনে যাত্রী সুরক্ষা।বুধবার দুপুর ১২টা বেজে ৮ মিনিটে বর্ধমান রেল স্টেশনে করোগেটেড শিটের তৈরি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় বিপত্তি ঘটে যায়। ট্যাঙ্ক ভেঙে প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিন জনের মধ্যে দুজন হলেন মফিজা খাতুন এবং ক্রান্তি কুমার। একজনের নাম জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী জখমের সংখ্যা কমপক্ষে ২৭ জন। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ এবং দমকল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল তা এখনও পরিষ্কার নয়। বর্ধমান স্টেশনে এর আগে ২০২০ সালে ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল স্টেশনের ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঝুল বারান্দা।স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকট শব্দের পরই আর্তনাদ শুনে বোঝা যায়, বেশ কয়েকজন চাপা পড়েছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য শুরু হয় ছোটাছুটি। ততক্ষণে আরপিএফ ও জিআরপিও ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। এ পর্যন্ত প্রায় ২৭ জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal